tag:blogger.com,1999:blog-3597551960373097692024-03-13T10:34:57.062+06:00যে কথা হয়নি বলাআমার ভাবনার পথ ধরে রাত্রি হেটে হেটে সকাল বয়ে আনে,
আমি আমার নিজের কথা বলি অন্যের কানে কানে।Rabilmhhttp://www.blogger.com/profile/02982932190435420445noreply@blogger.comBlogger29125tag:blogger.com,1999:blog-359755196037309769.post-69898288189042391742016-08-21T15:15:00.000+06:002016-08-21T15:15:40.518+06:00রাশেদ, আজ তোমার খুব বড় বেশী প্রয়োজন।<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div style="text-align: justify;">
ওর ডাক নাম রুমন। ভালো নাম রাশেদুর রহমান। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
১৯৯৮ সাল। আমি প্রভাষনা করছিলাম উত্তর বাংলা কলেজে। ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্টে পরীক্ষা দিয়ে এ্যপয়েন্টমেন্ট লেটার হাতে পেলাম ২১ সেপ্টেম্বর । যাবতীয় কাজ সেরে ব্যাংকে যোগদানের জন্য ২৩ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম। মনে নানান রকম দ্বিধা, ভয় কাজ করছিলো। নতুন চাকুরী, নতুন নির্বাহী, নতুন অফিস ইত্যকার যাবতীয় ভীতি ক্রমশ: বাড়ছিলো। ব্যাংকের নির্বাহী সম্পর্কে একটি প্রচলিত ভীতি মনের মধ্যে আগে খেকেই ছিল যে, ব্যাংকের নির্বাহীবৃন্দ অত্যন্ত কঠিন হৃদয়ের মানুষ (যদিও পরে সেই ভীতি অনেকটাই কেটে গেছে এবং এখন মনে হয় ব্যাংকের নির্বাহীবৃন্দ আমার সবচাইতে কাছের অভিভাবক-শুভাকাঙ্খী)। মনে শংকার সমুদ্র নিয়েই রাতে রাজশাহী পৌছলাম। রাজশাহী আমার পরিচিত জায়গা। পড়াশূনার সুবাদে দীর্ঘ সাতটি বছর কাটিয়েছি ওখানে। ওখানকার জল, হাওয়া আমার অতি পরিচিত। কিন্তু তবুও নতুন পরিচয় নিয়ে শহরে ঢুকতেই নিজেকে কেমন যেন অচেনা লাগছিল। অস্থিরতায় রাতে তেমন ঘুমাতে পারলাম না। সকালে ঘুম থেকে উঠে কোনরকম নাস্তা সেরে বিভাগীয় অফিসের দিকে রওনা দিলাম।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
লক্ষীপুর মোড় বামে রেখে ডানদিকে জীবন বীমা ভবনের দিকে তাকাতেই বুকটা ধ্বক করে উঠলো। জনতা ব্যাংকের বিভাগীয় কার্যালয় তখন ওটিই। আর রাজশাহী শহরের সবচেয়ে উচু ভবনও ছিল ওটি। সন্ত্রস্ত পায়ে ক’তলায় উঠেছি মনে নেই তবে ভুল করে হলেও বিভাগীয় অফিসে পৌছে যাই যথা সময়ে। সব অপরিচিত মুখের মধ্যে আমার চোখ সম্ভবত একজন মানুষকে খুজছিল-যাকে ভরসা করা যায়। না তেমন কেউই নেই। কী করবো, কাকে জিজ্ঞাসা করবো ভাবতে ভাবতে ব্যালকনিতে পায়চারী করছিলাম। </div>
<div style="text-align: justify;">
‘ভাই, আপনি কী জয়েন করতে এসছেন?’ এমন প্রশ্নে সচকিত হয়ে তাকিয়ে দেখি একজন সুদর্শন যুবক আমাকেই প্রশ্নটি করছে। কম্পিত গলায় উত্তর দিলাম ‘জ্বী ভাই’। আবারো সেই যুবকের প্রশ্ন ‘তো বারান্দায় দাড়িয়ে আছেন কেন? আসুন আমিও জয়েন করতে এসেছি। আমার কাজ হয়ে গেছে। আমি আপনাকে সাহায্য করছি।’ সেই যুবক আমার চাকুরীতে যোগদানের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতার পুরোটাই একহাতে করে দিল। আমি অবাক বিস্ময়ে লক্ষ করলাম একজন সম্পুর্ন অপরিচিত মানুষ কেমন করে অতিপরিচিত আপনজন হয়ে ওঠে। ১৯৯৮ সালে আপনজন হয়ে ওঠা ওই যুবকটিই রাশেদ। রাশেদুর রহমান রুমন।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
এর পর ১৯৯৯ সাল। এরই মধ্যে আমি জেনেছি রাশেদ কালীগঞ্জের ছেলে। কর্মসুত্রে আমিও থাকি কালীগঞ্জে, সে সুত্রে পরিচিতির পরিধিটা আরও অনেকটা বেড়ে ওঠে। ‘ভাই’ ছেড়ে রাশেদ আমাকে ‘রবি দা’ ডাকা শুরু করেছে। ও তখন লালমনিরহাট প্রধান শাখায় কর্মরত আর আমি বুড়িমারী শাখায়। অফিসার্স বেসিক ট্রেনিং কোর্সের জন্য ঢাকায় গেলাম সেটা নিরানব্বই এর মাঝামাঝি। হোস্টেলে গিয়ে দেখি রাশেদ গেটে দাড়িয়ে। বললো ‘রবি দা, আপনার জন্য রুম বরাদ্দ করা হয়েছে।’ আমি তো হতভম্ব। তখন ল্যান্ডফোন ছিল না, না ছিলো সেল ফোন, তার পরও সে হদয়ের টানেই আমার জন্য রুম বরাদ্দ করেছে। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
রুমমেট হয়ে দীর্ঘ আড়াই মাস কাকরাইলে থাকা। প্রতিদিন সকালে দল বেধে ৪৮, মতিঝিলে যাওয়া। বিকেলে তন্দুুর রুটি আর শিক কাবাব খাওয়া। সাবিনার সাথে ওর ভাললাগা (ভালবাসা নয়, কেননা ভালবাসার জন্য যথেষ্ট সময় ছিল না তখন)। পরে সাবিনার সাথে বিয়ে। দুই কন্যার জনক হওয়া। চাকুরী, ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে সাবলীল জীবন যাপন। ১আগষ্ট ২০১৬ এর মধ্যহ্ন পর্যন্ত সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল। স্বাভাবিক ছিল। মধ্যাহ্নের পর সব কিছুই কেমন পাল্টে গেল। কতগুলো স্বপ্ন এলামেলো হয়ে গ্যালো। এক আগষ্ট ঘড়ির কাটা থেমে গ্যালো, একটি স্বত্তায়, একটি জীবনে।</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
জনিনা, আমার জীবনের পথচলা আর কতটা বাকি আছে। তবুও যতটুকু আছে তাতে কী কেউ রাশেদের মতো আগবাড়িয়ে আমাকে বলবে, ‘ভাই, আপনি কী জয়েন করতে এসছেন? অথবা ‘রবি দা, আপনার জন্য রুম বরাদ্দ করা হয়েছে।’</div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
আজ বিশ আগষ্ট ২০১৬। ম্যানেজারস ফোরামের ব্যবস্থাপনায় রাশদের শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হলো বিভাগীয় অফিসে। এই ২০ দিনেই পলে পলে অনুভব করছি, বেঁচে থাকা প্রতিটি মানুষের জন্যই এরকম একজন রাশেদের খুব বড় বেশী প্রয়োজন আজ। </div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
<div style="text-align: justify;">
<br /></div>
</div>
Rabilmhhttp://www.blogger.com/profile/02982932190435420445noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-359755196037309769.post-57421358578253095652008-03-27T23:12:00.004+06:002008-03-27T23:50:13.578+06:00আর একটা স্বাধীনতা দিবস!ভীষন নির্বিঘ্নে আর একটা স্বাধীনতা দিবস কেটে গেল! নির্বিঘ্নে কাটবার কথা ছিল না, কথা ছিল ব্যাপক উদ্দীপনায় এ দিনটি কাটবে। আমরা সবাই মিলে এখানকার একটি নি:স্ব মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে আমাদের ব্যাক্তিগত উদ্দোগে তোলা চাদার টাকা দিয়ে পূণ:র্বাসনের একটা চেষ্টা করবো আর স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদেরকে যতটা সম্ভব একদিনের জন্যে হলেও বিশেষ সম্মান দেব।<br /><br />বিপত্তিটা বাধলো এখানেই। মুক্তিযোদ্ধা খোজার প্রাথমিক প্রচেষ্টাতেই একটা বড় হোচট খেয়ে গেলাম। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যারা রাষ্ট্রস্বীকৃত সত্যিকার অর্থে তাদের অনেকেরই নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করার নৈতিক অধিকারটুকুও নেই। আর যারা সত্যিকার মুক্তিযোদ্ধা তাদের অনেকেরই রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নেই। এমনি এক মুক্তিযোদ্ধার চুরি যাওয়া একটি জীর্ণ ট্রাংক উদ্ধার করা হয়েছিল কিছুদিন আগে। চোর ট্রাংকের অন্যান্য জিনিসপত্র নিলেও ট্রাংকের ভিতরে এম এ জি ওসমানীর স্বাক্ষরিত সনদপত্রসহ ট্রাংকটি রেখে যায়। অনেক খুজে আমরা উপস্থিত হই সেই মুক্তিযোদ্ধার বাড়ীতে। বাড়ী বলতে একটি মাত্র ছনের দোচালা ঘর, আর তিনি নিজে দিনমজুরী করে তিন সন্তানের পরিবারটিকে কোনমতে টেনে হিচরে নিচ্ছেন অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে।<br /><br />তাকে জিজ্ঞেস করলাম, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আপনার কী কোন স্বীকৃতি আছে? তিনি শিশুর মত ডুকরে কেদে উঠলেন, 'ছিল বাবা, চোরে নিয়ে গেছে।'<br />আর কোন স্বীকৃতি?<br />স্বীকৃতি আর কে দেবে বাবা? যিনি দেবার তিনি তো দিয়েছেন।<br />বিষাদের মেঘে আধার হয়ে এল মনের আকাশ। যিনি নিজের জীবন বাজী ধরেছিলেন একটি সবুজ মৃত্তিকার জন্য এই জাতি তাকে স্বীকৃতিটুকু পর্যন্ত দেয়ার প্রয়োজন মনে করলো না। নিজের প্রতি প্রচন্ড ঘৃণা নিয়ে বাড়ী ফিরলাম।<br /><br />স্বাধীনতা দিবস পেরিয়ে গেল। জমানো চাদার টাকাটা কাউকে দেয়া হয়নি। অপরাধবোধ আমাদেরকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। পূণ:র্বাসনের নামে আমরা কী একজন মুক্তিযোদ্ধাকে আরও অপমানিত করছি। যে অপমানের গ্লানি তিনি বয়ে বেড়াচ্ছেন তা কী যথেষ্ট নয়?Rabilmhhttp://www.blogger.com/profile/02982932190435420445noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-359755196037309769.post-7850980269673836522007-12-15T23:49:00.000+06:002007-12-15T23:58:42.920+06:00কাল বিজয়ের দিন<span style="font-family: verdana;font-size:130%;" >আরও একটা বিজয় উতসবের দিন এসে গেল দেখতে দেখতেই। আমাদের বিজয়ের দিনটা অনেকটাই কালো মেঘে ঢাকা। এখনো এদেশে স্বাধীনতার বিরোধীরা সভা সেমিনার করে নিজেদেরকে সঠিক প্রমান করার চেষ্টা চালায়। এখনো এদেশের সাচ্চা মুসলমান মহিলারা ক্রিকেটমাঠে "মেরি মি" লিখে পাক খেলোয়ার আফ্রিদিকে প্লাকার্ড দেখায়। আমার বয়েস খুব বেশী নয় অবশিষ্ট জীবনে আরও যে কত কিছু দেথতে হবে_আল্লাহ মালুম।</span>Rabilmhhttp://www.blogger.com/profile/02982932190435420445noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-359755196037309769.post-61645073927112828092007-06-30T01:48:00.001+06:002007-06-30T01:48:46.180+06:00লোভ কী আত্মহননকে তরান্বিত করে?<span xmlns=''><p><span style='font-family:SushreeEMJ'>welqUv gvb‡Z cviwQbv †Kvbfv‡eB| GKRb mr gvbyl Kxfv‡e GZUv Amr n‡q hvq G welqwU †Kvbfv‡eB AvZ¥¯' Ki‡Z cviwQ bv|<br /></span></p><p><span style='font-family:SushreeEMJ'>mr nevi R‡b¨ mnvqK welq¸‡jvi w`‡K hZevi ZvwK‡qwQ ZZevi g‡b n‡q‡Q G¸‡jvi Zvi †KvbB Afve ‡bB Zvn‡j †jvKwU Amr n‡jv ‡Kb? †k‡l GKw`b avibvUv G‡Kev‡i RjerZijs n‡q †Mj †hw`b wZwb AvZ¥ nZ¨v Ki‡jb|<br /></span></p><p><span style='font-family:SushreeEMJ'>Zvi AvZ¥nZ¨vi ci wbR nv‡Z †jLv GKUv wPiKzU cvIqv wM‡qwQj Zvi evwj‡ki wb‡P| g"Z¨yi Av‡M wZwb Lye hZœ K‡i wj‡L †M‡Qb Avgvi GB g"Z¨yi Rb¨ Avgvi †jvf Qvov Avi †KD `vqx bq| e¨vcviUv `vov‡jv me Av‡Q ZeyI wZwb †jvf m¤^ib Ki‡Z cvi‡Qb bv| †Kb cvi‡Qb bv? cvi‡Qb bv GRb¨B †h wZwb AviI †c‡Z PvB‡Qb| fqven e¨vcvi nj wZwb eyS‡Z cvi‡Qb wZwb Kx Ki‡Qb wKš' wZwb †mLvb †_‡K m‡i Avm‡Z cvi‡Qb bv| m¤¢eZ GLvb †_‡KB Zvi we‡e‡Ki `skb ïi" Avi we‡e‡Ki GB fqvj `sk‡bB wZwb AvZ¥nb‡bi c_ †e‡Q wb‡q‡Qb|<br /></span></p><p><span style='font-family:SushreeEMJ'>hLb Zvi evwo‡Z †cŠQjvg, Zvi wb_i kixi,D™£vš— cv_i `"wó nq‡Zvev c"w_exi cÖwZ ey‡K Rgv‡bv mg¯— N"Yv DM‡o w`‡"Q Avgv‡`i cÖwZ- wZwb †Zv evP‡Z †P‡qwQ‡jb! </span><span style='font-family:Times New Roman; font-size:10pt'><br /> </span></p></span>Rabilmhhttp://www.blogger.com/profile/02982932190435420445noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-359755196037309769.post-63070928444369653252007-05-15T00:20:00.001+06:002007-05-15T00:20:20.017+06:00তার আত্মা তার আত্মহনন<span xmlns=''><p><span style='font-family:SushreeEMJ'>welqUv gvb‡Z cviwQbv †Kvbfv‡eB| GKRb mr gvbyl Kxfv‡e GZUv Amr n‡q hvq G welqwU †Kvbfv‡eB AvZ¥¯' Ki‡Z cviwQ bv|<br /></span></p><p><span style='font-family:SushreeEMJ'>Amr nevi R‡b¨ mnvqK welq¸‡jvi w`‡K hZevi ZvwK‡qwQ ZZevi g‡b n‡q‡Q G¸‡jvi Zvi †KvbB Afve ‡bB Zvn‡j †jvKwU Amr n‡jv ‡Kb? †k‡l GKw`b avibvUv G‡Kev‡i RjerZijs n‡q †Mj †hw`b wZwb AvZ¥ nZ¨v Ki‡jb|<br /></span></p><p><span style='font-family:SushreeEMJ'>Zvi AvZ¥nZ¨vi ci wbR nv‡Z †jLv GKUv wPiKzU cvIqv wM‡qwQj Zvi evwj‡ki wb‡P| g"Z¨yi Av‡M wZwb Lye hZœ K‡i wj‡L †M‡Qb Avgvi GB g"Z¨yi Rb¨ Avgvi †jvf Qvov Avi †KD `vqx bq| e¨vcviUv `vov‡jv me Av‡Q ZeyI wZwb †jvf m¤^ib Ki‡Z cvi‡Qb bv| †Kb cvi‡Qb bv? cvi‡Qb bv GRb¨B †h wZwb AviI †c‡Z PvB‡Qb| fqven e¨vcvi nj wZwb eyS‡Z cvi‡Qb wZwb Kx Ki‡Qb wKš' wZwb †mLvb †_‡K m‡i Avm‡Z cvi‡Qb bv| m¤¢eZ GLvb †_‡KB Zvi we‡e‡Ki `skb ïi" Avi we‡e‡Ki GB fqvj `sk‡bB wZwb AvZ¥nb‡bi c_ †e‡Q wb‡q‡Qb|<br /></span></p><p><span style='font-family:SushreeEMJ'>hLb Zvi evwo‡Z †cŠQjvg, Zvi wb_i kixi,D™£vš— cv_i `"wó nq‡Zvev c"w_exi cÖwZ ey‡K Rgv‡bv mg¯— N"Yv DM‡o w`‡"Q Avgv‡`i cÖwZ- wZwb †Zv evP‡Z †P‡qwQ‡jb! </span></p></span>Rabilmhhttp://www.blogger.com/profile/02982932190435420445noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-359755196037309769.post-81404126505123052652007-05-10T01:21:00.001+06:002007-05-10T01:21:07.202+06:00অভ্রকে ধন্যবাদ<span xmlns=''><p style='text-align: justify'><span style='font-family:DhanshirhiEMJ'>Aå‡K ab¨ev`|<br /></span></p><p style='text-align: justify'><span style='font-family:DhanshirhiEMJ'>ab¨ev` GR‡b¨ †h Avgiv hviv weRq Kx †ev‡W© wj‡L Af¨¯— Zv‡`i Rb¨ e‡M †jLv‡jwLUv G‡Kev‡i mnR K‡i w`‡q‡Q| we‡klZ Aåi KbfvUv©i mdUIqviwU GKK_vq gvivZ¥K| Iqv‡W© B‡"QgZ wjLyb Avi GK wK¬‡K KbfvU© K‡i cvwV‡q w`b e‡M| GiKg GKwU AwZ cÖ‡qvRbxq mdUIqvi we‡b cqmvq WvDb‡jvW Ki‡Z †`evi R‡b¨ Aå KZ…©c¶‡K ab¨ev` AviI GKevi| <br /></span></p><p><br /> </p><p><br /> </p><p><br /> </p></span>Rabilmhhttp://www.blogger.com/profile/02982932190435420445noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-359755196037309769.post-15195345275596334622007-05-09T00:41:00.000+06:002007-05-09T00:52:00.849+06:00নামটা পরিবর্তন করেই ফেললামআমার ব্লগের নামটা নিয়ে প্রথম থেকেই একটা আপত্তি আমার ছিলই। শেষমেষ লন্ডন প্রবাসী আমার এক ভাগ্নের অনুরোধে নামটাই পরিবর্তণ করে ফেললাম। যে কথাগুলো খুবই জরুরী অথচ কেউ মুখ খুলে বলেনা আমি হয়তোবা সেগুলোই বলতে চাইব।<br />হয়তোবা বলবো ওRabilmhhttp://www.blogger.com/profile/02982932190435420445noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-359755196037309769.post-53911489940951702502007-03-21T20:37:00.001+06:002007-03-21T20:37:09.829+06:00নিজেকে প্রশ্ন করি কে আমি?<span xmlns=''><p style='text-align: justify'><span style='font-family:Vrinda; font-size:14pt'>দেশটার আমূল পরিবর্তন হয়ে গেছে দেড় মাসেই। আইন না মানতে না মানতে যখন স্বভাবই হয়ে গিয়েছিল আইন না মানা ঠিক সেরকম একটা সময়ই জারী করা হল জরুরী আইন। কী আশ্চর্য ভোজবাজীর মত সব অনিয়ম নিয়ম হয়ে যেতে লাগলো আর একটা একটা করে থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসতে লাগলো ক্রমাগত। ত্রানের জন্য দেয়া খাদ্য সামগ্রী কতগুলো কার পেটে গেছে অনুমান করা সহজ হয়ে গেল গিলে খেতে না পারা উদ্ধার করা ত্রানের টিনের পরিমান দেখে।<br /></span></p><p style='text-align: justify'><span style='font-family:Vrinda; font-size:14pt'>টিন খেয়েছে কারা? আমরা যাদেক ভোট দিয়ে আমাদের নেতা বানিয়েছি অথবা আগামীতে যাদেরকে নেতা বানাবো বলে মনস্থির করে রেখেছি তারা। কতটা অনিয়মে তলিয়েছিল জাতি শাপেবর হয়ে জরুরী আইন জারী না হলে কোনদিনই জানতো না কেউ। আমি জানি ভয় দেখিয়ে খুব বেশীদিন নিয়ম চালানো যায় না তবে এই ভয়টা আর কিছু না করুক একটা কাজ খুব ভালোভাবে করেছে সেটি হলো আত্মপোলব্ধির বোধটাকে কিছুটা হলেও নাড়া দিয়েছে।<br /></span></p><p><span style='font-family:Vrinda; font-size:14pt'>আত্মপোলব্ধির বোধ কেবলমাত্র এ জাতিকে ক্রম অন্ধকারের তমাসা থেকে আলোর দিকে ধাবিত করতে পারে। আমি কে? এই জিজ্ঞাসাটা আজ খুব জরুরী। আমাদের বোধহয় সময় পেরিয়ে যাচ্ছে নিজেকে এ প্রশ্ন করার-এই আমিটা কে? </span></p></span>Rabilmhhttp://www.blogger.com/profile/02982932190435420445noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-359755196037309769.post-12922485359287526652007-03-21T01:01:00.001+06:002007-03-21T01:01:55.283+06:00ওয়ার্ড 2007 এ ব্লগ<span xmlns=''><p style='text-align: justify'><span style='font-family:Vrinda; font-size:14pt'>এই লেখাটি মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে লেখা। অফিস ২০০৭ ব্লগারদেক একটা ভালো সুযোগ এনে দিয়েছে। বিশেষত যারা ফায়ারফক্স ব্যবহার করছেন। কেননা এখানে ফন্ট ভেংগে যাওয়া বা বর্ণমালা ওলোট পালোটের কোন ভয় নেই। বলে রাখি এটি আমার পরীক্ষামূলক লেখা। সাথে একটা ছবিও দিলাম। দেখি কী হয়?<br /></span></p></span>Rabilmhhttp://www.blogger.com/profile/02982932190435420445noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-359755196037309769.post-30217692047799965522007-03-21T00:41:00.000+06:002007-03-21T00:46:25.138+06:00বদলে যাওয়া দিনআজকাল বেশ খারাপ সময় যাচ্ছে আমার। আবহাওয়া বদলে যাচ্ছে । শীত পালিয়ে পড়ছে গরম। শরীরের মধ্যে কেমন যেন একধরনের পরিবর্তন হচ্ছে। জানি না এটা কী?Rabilmhhttp://www.blogger.com/profile/02982932190435420445noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-359755196037309769.post-15957593349252855562007-01-18T00:31:00.001+06:002007-01-18T00:42:34.947+06:00ফিরে আসাব্রাউজারের সমস্যার জন্যে বেশ কদিন লিখতে পারিনি। আমার যে দু'একজন শুভাকাঙ্খী আছেন তাদের মেল পেয়ে মনে হচ্ছে লেখালেখিটা চালিয়ে যাওয়া বেশ জরুরী। তাই ভালো কোনও দিনের প্রত্যাশায় আবার কলম হাতে নিলাম। কৃতজ্ঞতা তাদের প্রতি যারা আমার বন্ধ কলমের দুয়ার খুলে দিয়েছেন।Rabilmhhttp://www.blogger.com/profile/02982932190435420445noreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-359755196037309769.post-73552692851278585842006-11-13T23:51:00.000+06:002006-11-14T00:46:18.744+06:00হতভাগা দেশ ও আব্দুল আজিজের কিসসা<div align="justify">আব্দুল আজিজ বাদশার ছেলে তাহার ভারী অহংকার। অহংকার হইবে নাই বা কেন? তিনি কত বড় বিদ্বান মানুষ। তাহার বাবা কত সাধনা করিয়া তাহাকে লেখাপড়া শিখাইয়াছেন। স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িবার সময় কত টাকা খরচ করিয়া তাহাকে এত্ত বড় বড় বই কিনিয়া দিয়াছেন, জামা কিনিয়া দিয়াছেন, জুতা কিনিয়া দিয়াছেন। কত্ত বড় বড় বই পাঠ করিয়া তিনি জজ বেরিষ্টার হইয়াছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হইয়াছেন। এই দেশের মুর্খ মানুষেরা এইসবের মর্ম কিছুই বুঝে না। বুঝিবেই বা কেমন করিয়া তাহাদের বুদ্ধির দৌড় কী আর অতদুর আছে? </div><div align="justify">চেয়ারে একবার বসিলে সেই চেয়ারের প্রতি যে কী অসাধারন ভালোবাসা জন্মে মুর্খ জনগন তাহার কী বুঝিবে? তাহারা হুদাহুদি মিছিল করে, মিটিং করে, গলা ফাটাইয়া শ্লোগান দেয় আর আমাদের এত বড় গুনি একজন মানুষ আব্দুল আজিজকে গদি হইতে নামানোর জন্য খামোকা টানাটানি করে। তাহারা বুঝে না তিনি বাংলাদেশের সংবিধান কর্তৃক প্রেরিত পয়গম্বর। তাহাকে গদি হইতে নামাইতে হইলে পবিত্র গ্রন্থে পরিবর্তন আনিতে হইবে, যাহা মানবের দ্বারা সম্ভব নয়। তাহারা ইহাও বুঝে না যে, যে দেশে গুনির কদর নাই সেদেশে গুনি জন্মে না। বুঝিলে কী আর কাজ কর্ম বাদ দিয়া একজন গুনি মানুষের গদি নিয়া টানাটানি করিত? </div><div align="justify">হতভাগ্য জনগন ইহাও বুঝে না যে, বাদশার ছেলে আব্দুল আজিজ কত বড় ক্ষমতাধর! তিনি একা একদিকে থাকিয়া গোটা দেশের বারোটা বাজাইয়া ছাড়িতেছেন। রাস্তাঘাট ব্যবসা বানিজ্য অফিস আদালত সকল কিছু বন্ধ হইয়া যাইতেছে তাহার ক্ষমতার দাপটে। একজন মানুষের ক্ষমতায় একটি দেশ অচল হইয়া যাইতেছে আর আমাদের হতভাগা দেশের মুর্খ মানুষেরা এমন ক্ষমতাধর একজন মানুষের গদি লইয়া বেহুদা টানাটানি করিতেছে। </div><div align="justify">সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দন্ডমুন্ডের কর্তা তিনি, তিনি আমাদের গুরুজন। অথচ মুর্খ দেশবাসী ভুলিয়াই গিয়াছে, "আদেশ করেন যাহা মোর গুরুজনে, আমি যেন সেই কাজ করি ভালো মনে।" </div>Rabilmhhttp://www.blogger.com/profile/02982932190435420445noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-359755196037309769.post-71698454492776189462006-11-07T02:03:00.000+06:002016-08-22T01:20:18.708+06:00গরুর গাড়ীতে চড়েছে উত্তরের সংস্কৃতি -১<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div align="justify">
"ও কি গাড়ীয়াল ভাই, হাকাও গাড়ী তুই................" এই ভাওয়াইয়া গানটি শোনেন নি এমন বাংলাদেশী খুজে পাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য হলেও নির্মম বাস্তবতা হলো উত্তরাঞ্চল থেকে এই গরুর গাড়ী আর 'ভাওয়াইয়া গান' দুটোই হারিয়ে যেতে বসেছে।</div>
<div align="justify">
ভাওয়াইয়া গান হল উত্তরাঞ্চলের নিজের গান, মাটির গন্ধ থেকে উঠে আসা প্রানের গান। দু'একজন শিক্ষিত গীতিকার কিছু গান রচনা করলেও অধিকাংশ গানই রচিত হয়েছে নিতান্তই স্বল্প শিক্ষিত কিংবা অশিক্ষিত মানুষের দ্বারা। একজন অশিক্ষিত মানুষ আর যাই পারুক, কৃত্রিমতার আশ্রয় নিতে পারে না, ফলে এই ভাওয়াইয়া গানগুলোতে সাধারন মানুষের অকৃত্রিম আবেগ, কৃত্রিমতা বিবর্জিত অনুভুতির সরল বহি:প্রকাশ ভাওয়াইয়া গানকে দিয়েছে পুরোপুরি অন্য এক মাত্রা। আজ থেকে দশ বারো বছর আগেও রেডিও বাংলাদেশ রংপুর কেন্দ্র থেকে বিকেল সাড়ে চারটায় ভাওয়াইয়া গানের যে অনুষ্ঠানটি হতো তা শোনার জন্য যে বাড়ীতে রেডিও ছিল সে বাড়ীর সবাই তো বটে বরং আশপাশের বাড়ী থেকেও নারী পুরুষ নির্বিশেষে জমা হতো রেডিও সেটের সামনে ভাওয়াইয়া গান শোনার জন্য। অথচ এই ক'বছরের মধ্যেই দৃশ্যপট পুরোপুরি পাল্টে গেছে। আজ আর গ্রামের লোকেরাও খুব একটা খবর রাখেনা- ভাওয়াইয়া গানের অনুষ্ঠান কখন হয়? ভাওয়াইয়া সংস্কৃতির এই পট পরিবর্তনে ইদানীং আমার মধ্যে এক ধরনের শংকা কাজ করে, তবে কী মানুষের অনুভুতি, আবেগ দিন দিন ভোতা হয়ে যাচ্ছে? নাকি এখন যে গানগুলো লেখা হচ্ছে, সুর করা হচ্ছে সেগুলোই আবেগহীন, আবেদনহীন ফলে মানুষের প্রান ছুয়ে যাচ্ছে না। আমি গবেষক নই তাই নিশ্চিত বলতে পারছি না হাজার বছরের লালিত আমাদের এই নিজস্ব গৌরবময় সংস্কৃতি কেন আজ হারাতে বসেছে। তবে এটি বলতে পারি অর্ধমৃত এই সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে গবেষনার পাশাপাশি সকল শ্রেনীর মানুষের পৃষ্টপোষকতা আজ একান্ত প্রয়োজন। নাহলে ট্রাক, বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে উত্তরাঞ্চলের আর এক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য গরুরগাড়ী যেমন কালের গহ্বরে হারিয়ে গেছে তেমনি হারিয়ে যাবে প্রানের গান ভাওয়াইয়া। হয়তোবা একিদন পৃথিবীর কোন মিউজিয়ামেই এদের অস্তিত্ত্ব খুজে পাওয়া যাবে না। </div>
</div>
Rabilmhhttp://www.blogger.com/profile/02982932190435420445noreply@blogger.comtag:blogger.com,1999:blog-359755196037309769.post-36410035709674162422006-11-04T03:48:00.000+06:002006-11-04T23:28:49.748+06:00কী সর্বনাশের কথা, "বড়ই আনন্দে আছি!"<div align="justify">চারিদিকের ভাবসাব মতিগতি দেখে মনে হচ্ছে, রোম পুড়ছে আর নিরো বাশি বাজাচ্ছে। বাজাবেই তো রোম পুরে গেলে নিরোর তো কিছু এসে যায় না যাদের এসে যায় দুর্ভাগ্য হলো আগুন নেভনোর তাদের কোন ক্ষমতাই নেই। </div><div align="justify">বলছিলাম আমাদের মত আম জনতার কথা। আজ গ্রামের বাড়ী থেকে আসা আমার এক প্রতিবেশিকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, "ভাই, দেশের হালচালটা বলেন তো একটু শুনি।" উত্তরটা শুনে কেমন যেন নিজেকেই অচেনা লাগলো। তিনি বললেন, ক্যান দ্যাশে আবার কী হইছে? বড়ই সত্য কথা। আসলেও তো দেশের কিচ্ছু হয়নি। সব আগের মতোই আছে। গাড়ী ঘোড়া যা চলার চলছে, যে যাকে যতটুকু ঠকাতে পারে ঠকাচ্ছে, যে যতটুকু শোষণ করতে পারে করছে, নৈতিকতার বাছ-বিচার না করে যে যেভাবে পারে চুরি চামারী করেই যাচ্ছে, হুদাহুদি কিছু মাথাওয়ালা মানুষ, আর রাজনৈতিক দলের নেতারা দেশ গেল, দেশ গেল বলে বৃথা কান্নাকাটি করছে। </div><div align="justify">কী রাষ্ট্রীয়, কী সামাজিক, কী ব্যক্তিগত প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই চুড়ান্ত অনিয়ম, চুড়ান্ত অবক্ষয় অথচ কত অবলীলায় দেশ চলছে। খুব বড় কোন ক্ষতি হচ্ছে না কারোরই। এইসব অনিয়ম, নৈতিকতার এই চুড়ান্ত অবক্ষয় এ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় তাহলে কী? নাকি এভাবেই চলবে? রাষ্ট্রের দায়িত্ব যারা কাধে নেন তারা কী কখনো বিষয়টি ভেবেছেন? মনে হয় না। বিশেষত নৈতিকতার অবক্ষয় থেকে আমাদেরকে মুক্ত করবেন কে?</div><div align="justify">গতকাল এবং আজকের প্রথম আলোর দুটো খবরের দিকে তাকান। কী নির্মম নৈতিকতার অবক্ষয় এ জাতির হয়েছে বুঝতে পারবেন। গতকাল চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের রানওয়ের ১০০০গজ বৈদ্যুতিক তার কারা যেন চুরি করে নিয়ে গেছে, আর আজকের কাগজে এসেছে গতকাল মধ্যরাতে কিছু দুবৃত্ত কারমাইকেল কলেজের ছাত্রীদের হোষ্টেলে দেয়াল টপকে ভতরে ঢোকার সময় ছাত্রীদের হাতে একজন দুর্বৃত্ত ধরা পড়েছে । দুটো ঘটনার মধ্যে অনেকগুলো সাদৃশ্যের মধ্যে চোখে পড়ার মতো সাদৃশ্য হলো নৈতিকতার অবক্ষয়। নিতান্ত হিতাহিত জ্ঞানশুন্য দুদল মানুষ ঘটনা দুটো ঘটিয়েছে। আমার একটি অপকর্ম দ্বারা একজন মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে নাকি অনেকগুলো মানূষ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এই বোধটুকু মানুষ কখন হারিয়ে ফেলে। উত্তর সহজ, একমাত্র নৈতিকতার অবক্ষয় হলেই মানুষ সহজ এই বোধটুকু হারিয়ে ফেলে। সামাজিক বা ধর্মীয় শিক্ষা যখন মানুষকে ন্যায় অন্যায়ের পার্থক্য শেখাতে ব্যর্থ হয় নৈতিকতার অবক্ষয় হয় তখনই।</div><div align="justify">চুড়ান্ত বাস্তবতা হলো আমরা এই সহজাত শিক্ষা থেকে কিছুই শিখছি না। আমাদেরকে নৈতিকতা উন্নয়নের এই শিক্ষায় কারা শিক্ষিত করে তুলবেন? শিক্ষাগ্রহনের এই জীবনব্যাপী প্রক্রিয়ায় শিক্ষকের ভূমিকা পালন করে বাবা-মা, পরিবার, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষক এবং অবশ্যম্ভাবীরুপে রাজনৈতিক নেতারা। আরও মজার ব্যাপার হলো, বাবা-মা, পরিবার বা শিক্ষকগন একজন মানুষকে অন্যান্য শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারলেও নৈতিকতা শিক্ষার এই গুরুত্বপুর্ণ স্তরটিতে রাজনৈতিক নেতারাই একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন কেননা নৈতিকতা শিক্ষার উল্লেখযোগ্য সময় হল যৌবন। আর এ সময়ে যুবকেরা অবশ্যই কোন না কোন রাজনৈতিক দলের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন। তাহলে ব্যাপরটি দাড়ালো নৈতিকতার শিক্ষায় রাজনৈতিক দলের ভূমিকাই সবচে' বেশী। আর আমাদের এই নৈতিক অবক্ষয়ের দায়ভার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ কোনভাবেই অস্বীকার করতে পারেন না। আরও জোর দিয়ে বললে বলা যায় আমাদের এই নৈতিক অবক্ষয়ে প্রত্যক্ষভাবে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ দায়ী, হয় তারা আমাদেরকে শিক্ষিত করতে পারছেন না, নতুবা তাঁরা নিজেরাই নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত নন। ছোটমুখে বড় কথা বলে ফেললাম, দয়া করে মাফ করে দেবেন।</div><div align="justify">তবুও জিব্রাইলের ঘোড়ায় চড়ে দেশ নির্বিঘ্নে শা-শা করে এগিয়ে যাচ্ছে, আমরা বড়ই আনন্দে আছি, কেমন করে বলুনতো? একটা গল্প শুনুন, উত্তরটা পেয়ে যাবেন- এক নাস্তিক গোটা পৃথিবী ঘুরে ক্লান্ত হয়ে বাংলাদেশে এসে কিছুদিন থাকলেন এবং সবাইকে চমকে দিয়ে মুসলমান হয়ে গেলেন। লোকজন বলাবলি শুরু করলো, কী আশ্চর্য! লোকটি গোটা পৃথিবী ঘুরলেন কিন্তু কোথাও কোন ধর্ম গ্রহন করলেন না আর এদেশে এসে মুসলমান হয়ে গেলেন! এদের মধ্যে অতি উত্সাহী একজন তাকে জিজ্ঞেস করলেন, আচ্ছা ভাই, আপনি হঠাত্ মুসলমান হলেন কেন বলুনতো? তিনি বললেন, "ভাই আমি পৃথিবীর যতগুলো দেশে ঘুরেছি প্রতিটি দেশেই আইন কানুন রয়েছে তা দিয়ে দেশ চলে আর এদেশে আইন কানুন কিছুই নেই অথচ দিব্যি দেশ চলছে। আল্লাহ ছাড়া কে চালাচ্ছে বলুন? তাই মুসলমান হয়ে গেলাম।" </div>Rabilmhhttp://www.blogger.com/profile/02982932190435420445noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-359755196037309769.post-54706629908893424192006-11-02T00:13:00.000+06:002006-11-02T01:07:43.688+06:00প্রধানমন্ত্রীর বচন ও স্বার্থহীন সম্পর্ক<div align="justify">সম্পর্ক শব্দটির সৃষ্টিই সম্ভবত জন্মের সাথে সম্পৃক্ত। প্রতিটি প্রাণীই স্বভাবসিদ্ধ কারণে জন্মের সাথে সাথেই জড়িয়ে পড়ে সম্পর্কের বেড়াজাল কিংবা মায়াজালে। জাল যাই হোক না কেন তবে এর সুতো যে অনেক মজবুত ভালোবাসার সম্পর্কই তার সবচে বড় প্রমান। আর সম্পর্ক শব্দটির সাথে নি:স্বার্থ শব্দটি জুড়ে দিয়ে আমরা এই শব্দটির প্রতি ভয়ংকর রকমের মিথ্যাচার করি।</div><div align="justify">সম্পর্ক কী তাহলে স্বার্থসংশ্লিষ্ট ? সুধীজনেরা নি:স্বার্থ সম্পর্ক, নি:স্বার্থ ভালোবাসার পক্ষে যতই সাফাই গাক না কেন আমি নিশ্চিতরুপে বিশ্বাস করি প্রতিটি সম্পর্কই অবশ্যম্ভাবীরুপে স্বার্থসংশ্লিষ্ট। অন্তত পরিসংখ্যান তো তাই বলে। আপনি নিজেই যদি কারও সাথে যে কোন সম্পর্কে জড়িয়ে যান সাদা চোখে দেখা এই নি:স্বার্থ সম্পর্কটিকে একবার গভীর অন্ত:দৃষ্টি দিয়ে দেখুন তো। দেখতে পাচ্ছেন কী, আপনার সম্পর্কটিও ভীষনভাবে স্বার্থসংশ্লিষ্ট। অথচ কতটা চাতুরতার সাথে সুক্ষ স্বার্থসংশ্লিষ্ট এই সম্পর্কটিকে নি:স্বার্থ বলে কলুষিত করছি।</div><div align="justify"> </div><div align="justify">মানূষের মতো শ্রেষ্ট জীবের হিসাব বাদ দিয়ে যদি অন্যান্য প্রাণীদের দিকে তাকানো যায়, ফলাফল আসবে মানূষের মতই। খাদ্য, প্রজনন, বেচে থাকা সহ মৌলিক অন্যান্য কারনের প্রেক্ষিতেই এদের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কোন কোন ক্ষেত্রে স্বার্থসংশ্লিষ্ট এ সম্পর্ক আজীবন টিকে থাকে আবার কোন ক্ষেত্রে টিকে থাকে একটি প্রজনন কাল পর্যন্ত।</div><div align="justify"> </div><div align="justify">আমাদের দেশের একজন প্রধানমন্ত্রী "পাগল ও শিশু" ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয় বলে সাময়িকভাবে সমালোচিত হয়েছিলেন। কিন্তু এখন যেমন প্রমানিত হচ্ছে আসলেই পাগল ও শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়। আমি জানি আমার এ লেখাটি পড়ে আপনিও দ্বিধায় পড়ে যাবেন আসলেও কী প্রতিটি সম্পর্কই স্বার্থসংশ্লিষ্ট ? আমি এও জানি একদিন আপনিই বলবেন আসলেই কোন সম্পর্ক স্বার্থের উর্দ্ধে নয় ।। </div>Rabilmhhttp://www.blogger.com/profile/02982932190435420445noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-359755196037309769.post-53977318907614705062006-10-31T23:28:00.000+06:002006-11-01T00:42:49.704+06:00লগি, বৈঠা, জনরোষ, হায় দেশপ্রেম!<div align="justify">বিগত কদিনের ঘটে যাওয়া এত বেশী অসাধারন ঘটনা আমার মতো একজন সাধারন মানুষকেও বেশ ধন্দে ফেলে দিয়েছে। আমরা যারা শান্তির পক্ষের, যারা বেশ কম বুঝি, তাদের ছোট্ট ঘিলুতেও এটুকু বোধ বোধহয় এতদিনে জন্মেছে যে, লাঠি বৈঠার চেয়েও অনেক শক্তিশালী সম্মিলিত মানুষের মুষ্টিবদ্ধ হাত,রাজপথ প্রকম্পিত করা শ্লোগান, আর যুগোপোযোগী সাহসী বলিষ্ট নেতৃত্ব। বাংলাদেশী হিসেবে আমি গর্ববোধ করি কারন একমাত্র আমাদেরই রয়েছে ভাষার জন্য জীবন দেয়ার গৌরবময় ইতিহাস, স্বাধীনতার জন্য সর্বস্ব বিলিয়ে দেবার স্বর্ণোজ্বল বীরত্বগাথা, গনতন্ত্রের জন্য রাজপথ রক্তে রঞ্জিত করবার অবিস্বরনীয় অতীত। নিজেকে বিসর্জন দেয়ার এই বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী জাতিটি কী সাংঘাতিক রকমের অসাধ্য সাধন করেছে খালি হাতে, খালি বুকে। 'যার যা আছে তা নিয়ে' শত্রু মোকাবেলার একটি চুড়ান্ত ঘোষনা অবশ্য এই জাতি পেয়েছিল সে ঘোষণা ছিল শত্রু মোকাবেলার, বিরোধীদল মোকাবেলার নয়। আর চুড়ান্ত বিজয়ও এসেছিল গোটা জাতির সম্মিলিত প্রতিরোধে, শত্রুর বুক কাঁপিয়ে দেয়া শ্লোগানে, লাঠি বল্লমে নয়। চোখের সামনেই এত জ্বলজ্বলে দৃষ্টান্ত থাকার পরেও, লগি বৈঠা কেন? </div><div align="justify">বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষ দিনগুলোতে আমি রাতে একা ঘুমাতে পারতাম না। একাকী শুয়ে চোখ বন্ধ করলেই একটা দু:স্বপ্নে আতকে উঠতাম। আমার চোখের সামনেই আমার এক সহপাঠিকে কুপিয়ে আধমরা করার পরে মৃত্যুপথযাত্রী আমার বন্ধুর অর্ধমৃত মাথাটি একটি ইটের ওপরে রেখে আর একটি ইট দিয়ে মাথা থেতলে দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করছে ধর্মের হেফাজতকারী একদল ছাত্র। চোখের সামনে ঘটে যাওয়া এই পৈশাচিক নারকীয়তা দু:স্বপ্ন হয়ে আমাকে কতদিন নির্ঘুম রেখেছিল তার সঠিক পরিসংখ্যান না রাখলেও কমপক্ষে লক্ষবার আল্লাহকে বলেছি, খোদা, মানবচক্ষে এ দৃশ্য যেন আর দেখতে না হয়। তবুও দেখতে হল একদল মানুষ ধর্মের হেফাজতকারী( ) একজন মানুষকে পিটিয়ে মারছে। দৃশ্য এক বদল শুধু অভিনেতাদের। দৃশ্যপট পাল্টানোর জন্য আসুন আর একবার আমরা মানুষের মনুষত্ববোধ জাগ্রত করার জন্য করুণাময়ের কাছে প্রার্থণা করি।</div><div align="justify"> </div><div align="justify">মজার একটা ঘটনা বলি শুনুন। </div><div align="justify">আমাদের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন আওয়ামীলীগ যে ভাষায় কথা বলবে তার দলও সেভাবে জবাব দেবে।</div><div align="justify"> </div><div align="justify"> তাহলে এবারে বলুনতো নিচের ধাধা দুটোর কোনিট ঠিক?</div><div align="justify">"কুকুরের কাজ কুকুর করেছে................."</div><div align="justify">নাকি</div><div align="justify">"যেমন কুকুর তেমন মুগুর"</div><div align="justify">আসলে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হচ্ছে- 'ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না (?)।</div><div align="justify"> </div>Rabilmhhttp://www.blogger.com/profile/02982932190435420445noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-359755196037309769.post-80837506874361387562006-10-28T23:05:00.000+06:002006-10-29T00:30:14.771+06:00কতগুলো লাশ এবং আমাদের রাজনীতি<div align="justify">বরাবর যে বিষয়টির প্রতি আমার চরম অনাগ্রহ, দুর্ভাগ্যজনক হলেও আমি সেই বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করেছি। বিষয়টি হলো রাজনীতি, আর বাস্তবতা হলো রাজনীতি বিজ্ঞানে আমি মাষ্টার্স করেছি। সে প্রসঙ্গ থাকুক। আমার অনাগ্রহের বিষয়টিতে আসি। আমার চাচাতো ভাই যিনি একজন তুখোড় ছাত্র ছিলেন আর যার ছিল মানুষকে ভালোবাসবার প্রচন্ড ক্ষমতা। ফলে আমাদের কাছে তো তিনি প্রিয় ছিলেনই, আমাদের চারপাশে যারা রয়েছিলেন তাদের সবার কাছে তার জনপ্রিয়তা ছিল আকাশচুম্বী। সালটা ঠিক মনে নেই তবে পচাত্তর ছেয়াত্তরের দিকে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং যথারীতি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ফলাফল যা হবার তাই হলো দীর্ঘ আট বছর পর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বরুলেন এবং রাজনীতি নিয়ে এতটাই মেতে থাকলেন যে, মেঘে মেঘে বেলা যে শেষ হয়ে এসেছে টেরই পেলেন না। আজ তিনি নিতান্তই অসহায় একজন মানুষ। যার নিজস্ব কোনও কাজ নেই, নেই স্বাভাবিক জীবন যাপনের সামান্যতম অবস্থানটুকুও। রাজনীতি অনেককে অনেক কিছু দিলেও আমার প্রিয় একজন মানুষকে এভাবে নি:স্ব করে দেয়ায় এই বিষয়টির প্রতি কেমন যেন এক ধরনের সহজাত অনাগ্রহ সৃষ্টি হয়ে যায়, যা আজ অব্দি রয়ে গেছে। রাজনীতির প্রতি আমার অনাগ্রহের এই বড় কারনটা ছাড়াও আরো একটি কারন রয়েছে পরে নাহয় একিদন লিখব। তখন থেকেই রাজনৈতিক কোন আলোচনা আমার বিরক্তির একটা প্রধান কারন হয়ে দাড়িয়েছে। কিন্তু শত চেষ্ঠা করেও যে মাটিতে আমার জন্ম তার অসম্মান দেখলে চাপা প্রতিবাদটা আটকাতে পারিনা, যেজন্য আজকের এই লেখা। </div><div align="justify">কদিন ধরে আমাদের দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আমাকে কেমন যেন ভাবিয়ে তুলেছে। আমি জানি, গনতন্ত্র বোকাদের শাসন কিন্তু তারপরেও বর্তমান বিশ্বে গনতন্ত্রই একমাত্র রাষ্ট্রব্যবস্থা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে যা অন্যকোন মতবাদ পারেনি। আমাদের দেশে স্বাধীনতার পরে দেরিতে হলেও গনতন্ত্রের চর্চা শুরু হয়েছে। গনতন্ত্রের চর্চা শুরুর দিকে আমার ভিতরে একধরনের নেতিবাচক অনুভুতি কাজ করতো। কিন্তু নিজেকে প্রবোধ দিতাম এই বলে যে, গনতন্ত্রতো চর্চার বিষয়। নিরবিচ্ছিন্ন চর্চা করলে একদিন ঠিকই পরিশুদ্ধ গনতন্ত্র এদেশে প্রতিষ্ঠিত হবেই। কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে, গনতন্ত্রের বয়স যত বাড়ছে আমার ভিতরের নৈরাশ্যের বোধটা ততই প্রকট হচ্ছে। বেশ কিছুদিন থেকেই বিরোধীদল দাবী করে আসছিল যে তারা কে এম হাসানের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার মানবে না, তাদের দাবী যে হাসান বি এন পি'র দলীয় লোক। এরকম পরিস্থিতিতে দুই দলের সাধারন সম্পাদক পর্যায়ে ম্যালা ক্যাচালে ভরপুর সংলাপও হলো, কাজের কাজ কিছুই হলো না। কোন সুরাহা ছাড়াই সংলাপ ভেঙ্গে গেল। বি এন পি ঘোষণা দিল কে এম হাসান প্রসঙ্গ ছাড়া আলোচনা হতে পারে আওয়ামীলীগ ঘোষণা করলো কে এম হাসানকে সরকারপ্রধান করা হলে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচী দেয়া হবে, সারাদেশ থেকে ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হবে। এরকম সংঘাতময় পরিস্থিতিতে সাতাশ তারিখের রাতটা আতংকে কাটলো। আর আজ সকাল থেকে শুরু হলো মাঠ দখলের লড়াই। এই লেখাটি লেখা পর্যন্ত সংঘাতে মোট দশজন প্রান দিয়েছেন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায়, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, আহত হওয়ার ঘটনা ঘেটেছে প্রতিটি জেলায় এবং অধিকাংশ উপজেলায়। এত খারাপ সংবাদের মাঝেই 'মজার' একটি ঘটনা ঘটেছে, ঘটনাটি হচ্ছে, সন্ধ্যায় কে এম হাসান প্রেস রিলিজের মাধ্যমে সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। তবে কি হাসান সাহেব আমাদের রাজনৈতিক সহিস্ঞুতার পরীক্ষা নিচ্ছিলেন? নাকি তিনি ভাবছিলেন, "দেখি লায়লা কেয়া কারেগা" </div>Rabilmhhttp://www.blogger.com/profile/02982932190435420445noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-359755196037309769.post-3740775183894687642006-10-26T16:36:00.000+06:002006-10-26T17:40:00.719+06:00একটি পোষ্টার, আমার ঈদ এবং কিছু কথা<a href="http://photos1.blogger.com/blogger2/1353/43915429203773/1600/puja.jpg"><img style="FLOAT: left; MARGIN: 0px 10px 10px 0px; CURSOR: hand" alt="" src="http://photos1.blogger.com/blogger2/1353/43915429203773/200/puja.jpg" border="0" /></a><br /><div align="justify">আমি যে এলাকায় থাকি তার চারদিকে হিন্দু ধর্মাবলম্বিদের সংখ্যাধিক্য থাকায় তাদের বোধ, ধমার্মাচারের সাথে আমার নাড়ির টানটা কিছুটা হলেও শক্ত। এবারে আবার দুর্গাপুজা পড়েছে রোজার মধ্যে। পুজার্চনা শুরুর দু'একদিন আগে নিকটতম এক প্রতিবেশির সাথে কথা হচ্ছিল পুজা কেমন হবে তা' নিয়ে। জিজ্ঞাস করেতই ভদ্রলোক বিরস মুখে বললেন-"ক্যামন আর হবে দাদা?" একটু থমকে গেলাম । আমার জানামতে ধর্মীয় এই অনুষ্ঠানিটর ব্যপারে রাষ্ট্র তার পরিপুর্ণ দায়িত্ব এবারে পালন করেছে। পুজার দিনগুলোতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশের এলিট বাহিনী RAB নামানো হয়েছে আর এই বাহিনীটিও অত্যন্ত বিশ্বস্ততার সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করছে। তাহলে উত্সবমুখর পুজা উদযাপনে বাধাটা কোথায়? আমার সেই প্রতিবেশীকে প্রশ্নটা করেওছিলাম কিন্তু তিনি বেশ চতুরতার সাথে উত্তরটা এড়িয়ে গিয়েছিলেন। ঈদ এখানে না করলে বোধহয় এই প্রশ্নটার উত্তর কোনো দিনও জানা হতো না।</div><br /><div></div><br /><div align="justify">নামাজ শেষে মাঠ থেকে বেরিয়েই মোড়ের কাঠলগাছে কম্পিউটারে কম্পোজ করা ছোট্ট একটা পোষ্টার চোখে পড়লো। ঈদে এরকম অনেক পোষ্টারই ছাপানো হয় মনে করে পোষ্টারটা না পড়েই বাসায় চলে এলাম। বিকেলের দিকে বাজার যাওয়ার সময় পোষ্টারটা আবারও চোখে পড়লো তবে ততক্ষনে পোষ্টারটির অর্ধেক কে বা কারাযেন ছিড়ে নিয়ে গেছে। পোষ্টারের ছেড়া অংশটি আমার আকর্ষন আরও বাড়িয়ে দিল। কাছে গিয়ে ছেড়া অংশটি পড়লাম। 'জয় মা' লেখা দিয়ে শুরু করা পোষ্টারটির দ্বিতীয় লাইনে "ঈদ মোবারক" লিখে মুসলমানদেরকে ঈদের শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। তার পরের লাইনগুলো ছেড়া যেটুকু আছে তাতে সম্ভবত লেখা ছিল "ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার"। আমার অনুভুতির সকল স্তর কেন যেন আচমকা কেঁপে উঠলো। তবে কী, যে বা যারা পোষ্টারটি ছিড়েছে তারা একজন মানুষের এই ভীত সন্ত্রস্ত শুভেচ্ছাটুকুও সহ্য করতে পারে না। তবে কী এজন্যই আমার প্রতিবেশী রাষ্ট্রের নেয়া সর্ব্বোচ্চ নিরাপত্তা সত্ত্বেও স্বত:স্ফুর্তভাবে পুজায় আনন্দ করতে পারছে না? </div><br /><div align="justify">হয়তোবা তাই ।</div><br /><div align="justify">হয়তোবা তা নয় ? </div>Rabilmhhttp://www.blogger.com/profile/02982932190435420445noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-359755196037309769.post-28522283991148343242006-10-26T00:25:00.000+06:002006-10-26T00:49:30.360+06:00ঈদ মোবারক !<a href="http://photos1.blogger.com/blogger2/1353/43915429203773/1600/RAJAns017.jpg"><img style="FLOAT: left; MARGIN: 0px 10px 10px 0px; CURSOR: hand" alt="" src="http://photos1.blogger.com/blogger2/1353/43915429203773/200/RAJAns017.jpg" border="0" /></a><br /><div>অবশেষে আরও একটা নিরুত্তাপ দিন জীবনবৃক্ষ থেকে খসে পড়লো। আজ ঈদ, নিরুত্তাপ এই দিনের উত্তপ্ত অভিনন্দন গ্রহন করুন- ঈদ মোবারক!!</div><br /><div>ঈদের এই দিনে প্রতি বছর কেন যেন বিষাদে মনটা ভরে ওঠে</div><div>অথচ আমি কিন্তু নৈরাশ্যবাদী নই। অনেক ভেবেছি কিন্তু এই বিষাদের যৌক্তিক কোন কারন আজ অব্দি উদ্ধার করতে পারিনি। শেষমেষ ইদানীং ভাবনাটা ছেড়েই দিয়েছি, কেননা আমার জ্ঞানের বাইরে অনেক কিছুই তো ঘটছে- এটাও নাহয় ঘটুক।</div><br /><div>প্রতিটা মানুষের মধ্যেই বোধহয় এমন মিশ্র বৈপরীত্য আছে।</div><div>নাকি নেই? আমি ঠিক জানি না। আর কখনো জানা হবে কিনা তাও জানা নেই।</div>Rabilmhhttp://www.blogger.com/profile/02982932190435420445noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-359755196037309769.post-20213975862787099822006-10-24T23:23:00.000+06:002006-10-27T02:46:31.084+06:00কাল ঈদ !<a href="http://photos1.blogger.com/blogger2/1353/43915429203773/1600/h1.0.gif"><img style="FLOAT: left; MARGIN: 0px 10px 10px 0px; CURSOR: hand" alt="" src="http://photos1.blogger.com/blogger2/1353/43915429203773/200/h1.0.png" border="0" /></a><br /><div align="justify">রোজা আর ঈদ নিয়ে এবার অনেক ফ্যাসাদ হলো। প্রথম বিপত্তি শুরু হল রোজা শুরু নিয়ে। সবার ধারনা মিথ্যা প্রমান করে রাতের সংবাদে বলা হল রোববার রোজা হবেনা, যদিও মধ্যপ্রাচ্যে রোজা শুরু হয়েছে শনিবার সে হিসেবে রোববার বাংলাদেশে রোজা শুরু হবার কথা। এভাবে যদিও রোজা শুরু হল কিন্তু মুল বিপত্তি বাধলো ঈদ কবে হবে তা নিয়ে। এদেশের অনেকেই ঈদ করেছে গতকাল, মুফিত আমিনীসহ অনেকেই করেছে আজ, ইন্দোনেশিয়া, পশ্চিমবঙ্গে ঈদ হয়েছে আজ আর আমরা ঈদ করবো কাল।</div><div align="justify"> কাল যখন আমরা কাধে কাধ মিলিয়ে এক সারিতে সকল বিভেদ ভূলে নামাজে দাড়াবো তখন কী আমাদের মহামান্য দুই নেত্রী সকল বিভেদ ভূলে যাবে? আমি জানি যাবে না। বিভেদ ভুলে গেলে কী রাজনীতি হয় ???</div><div align="justify"></div><br /><div align="justify">তবুও ঈদের শুভেচ্ছা ।</div><br /><div align="justify">ঈদ মোবারক।।</div><br /><div align="justify">(ছবি: জনকন্ঠের সৌজন্যে)</div><br /><div align="justify"><br /></div><br /><div align="justify"></div>Rabilmhhttp://www.blogger.com/profile/02982932190435420445noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-359755196037309769.post-28336824727437572502006-10-23T23:25:00.000+06:002006-10-24T00:06:08.660+06:00বড় বেশী বেদনার কথা<div align="justify"><a href="http://photos1.blogger.com/blogger2/1353/43915429203773/1600/RAJAns000.jpg"><img style="FLOAT: left; MARGIN: 0px 10px 10px 0px; CURSOR: hand" alt="" src="http://photos1.blogger.com/blogger2/1353/43915429203773/200/RAJAns000.jpg" border="0" /></a><br /></div><div align="justify">ঈদকে সামনে রেখে মানুষের হুঢ়োহুড়ি দেখে তাজ্জব বনে যাই। ঈদের আগের সপ্তাহেই আমার মনটা কেমন যেন বিষন্নতায় ভরে ওঠে। সবসময় তটস্থ থাকি কখন আরো একটা দু:সংবাদ পাবো। যেমন আজ পেলাম।</div><div align="right"><br /></div><div align="right"></div><div align="right"><br /></div><div align="right">বেশ কিছুদিন টিভি দেখছিনা। আজ বসলাম। বসেই মনটা খারাপ হয়ে গেলো। দুটি লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষের ফলে একটি লঞ্চ ২০০জন যাত্রী নিয়ে ডুবে গেছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত লাশ পাওয়া গেছে ১৬টি কতজন নিখোজ রয়েছে তার কোন সঠিক পরিসংখ্যান সরকার দিতে পারেনি। অবশ্য পারার কথাও নয়। কারন আমাদের সরকার বাহাদুর এ মুহুর্তে সংলাপ নিয়ে মহা ব্যস্ত রয়েছে। আমার বিশ্বাস অবশেষে এই সংলাপ-নাটকও অশ্ব ডিম্ব প্রসব করবে। হায় সেলুকাস! বড় বিচিত্র এই দেশ ?</div>Rabilmhhttp://www.blogger.com/profile/02982932190435420445noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-359755196037309769.post-68622506802403972482006-10-20T01:50:00.000+06:002006-10-20T02:09:41.949+06:00এমনো দিন আসে !<div align="justify"><a href="http://photos1.blogger.com/blogger2/1353/43915429203773/1600/RAJAns019.jpg"><img style="FLOAT: left; MARGIN: 0px 10px 10px 0px; CURSOR: hand" alt="" src="http://photos1.blogger.com/blogger2/1353/43915429203773/200/RAJAns019.jpg" border="0" /></a> আজ কদিন থেকে শরীরটা মোটেও ভালো নেই। অনবরত জ্বরের অনুভূতি নিয়ে দিন কাটাচ্ছি। গত সপ্তাহ থেকে আবহাওয়া পাল্টাচ্ছে। সন্ধ্যা থেকেই শুরু হচ্ছে হালকা কুয়াশার মোহময় রাত। শেষরাতে কুয়াশার প্রকোপ এতটাই বেড়ে যায় যে, কদিন আগের খুলে রাখা জানালার কুয়াশায় সর্দিতে ভুগছি। আজ ইদুল ফিতরের আগের সপ্তাহের শেষ অফিস। ভীষন রকমের ব্যস্ততায় কাটলো পুরোটা দিন, লোকজন ক্যামন পাগল হয়ে গেছে টাকার জন্য। </div>Rabilmhhttp://www.blogger.com/profile/02982932190435420445noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-359755196037309769.post-18463962497552404912006-10-18T22:05:00.000+06:002006-10-18T22:22:51.628+06:00বড় বেশী বিষন্ন আমি<a href="http://photos1.blogger.com/blogger2/1353/43915429203773/1600/RAJAns023.jpg"><img style="FLOAT: left; MARGIN: 0px 10px 10px 0px; CURSOR: hand" alt="" src="http://photos1.blogger.com/blogger2/1353/43915429203773/320/RAJAns023.jpg" border="0" /></a><br /><br /><br /><br /><br /><br /><br /><br /><br /><br /><br /><br /><br /><br /><div align="left"> </div><div align="left"> </div><div align="left">আজ কদিন ভীষন বিষন্নতা যাচ্ছে। </div><div align="left">মানুষের মন বোধহয় এমিনই।</div><div align="left"><br /></div><div align="left">কোন কারন ছাড়াই মেঘলা আকাশের মতো বিষন্নতার মেঘে ছেয়ে যায় মনের আকাশ।</div><div align="left"><br /></div><div align="left"></div><div align="left"><br /></div><div align="left">যে আমার একান্ত কাছের</div><div align="left">যে আমার নিতান্ত আবেগের </div><div align="left"> </div><div align="left"> </div><div align="left">যাকে মনে করে নরুত্তাপ কাটানো যায় সারাদিন সারাবেলা</div><div align="left">সে আমায় বুঝলোনা</div><div align="left">বুঝলোনা কিছুতেই!!</div>Rabilmhhttp://www.blogger.com/profile/02982932190435420445noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-359755196037309769.post-55419655125417776342006-10-17T02:14:00.001+06:002006-10-18T23:08:34.061+06:00ভাল আছি কী ?<p align="left"><a href="http://photos1.blogger.com/blogger2/1353/43915429203773/1600/DW_C0861.jpg"><img style="DISPLAY: block; MARGIN: 0px auto 10px; CURSOR: hand; TEXT-ALIGN: center" alt="" src="http://photos1.blogger.com/blogger2/1353/43915429203773/320/DW_C0861.jpg" border="0" /></a></p><br /><br />সকালের রোদ্দুর আমাকে বললো<br />ভাল আছ কী?<br /><br /><br />দুপুরের মেঘলা আকাশ বললো আমায়<br />ভাল আছ কী?<br /><br /><br />অনেক ভাবনার মায়াজাল ছিরে<br />অনেক হিসেব নিকেশ করে মিলিয়ে নিলাম<br />জীবেনর সব লেনাদেনা-<br /><br /><br />আসেল কী ভাল আছি?Rabilmhhttp://www.blogger.com/profile/02982932190435420445noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-359755196037309769.post-51045237941862460672006-10-15T01:13:00.000+06:002006-10-18T22:44:53.245+06:00আমার দেশ<a href="http://photos1.blogger.com/blogger2/1353/43915429203773/1600/RAJAns022.jpg"><img style="FLOAT: left; MARGIN: 0px 10px 10px 0px; CURSOR: hand" alt="" src="http://photos1.blogger.com/blogger2/1353/43915429203773/320/RAJAns022.jpg" border="0" /></a><br /><a href="http://photos1.blogger.com/blogger2/1353/43915429203773/1600/RAJAns022.jpg"></a><div><br /><span style="font-size:130%;"></span> </div><div><span style="font-size:130%;"></span> </div><div><span style="font-size:130%;"></span> </div><div><span style="font-size:130%;"></span> </div><div><span style="font-size:130%;"></span> </div><div><span style="font-size:130%;"></span> </div><div><span style="font-size:130%;"></span> </div><div><span style="font-size:130%;"></span> </div><div><span style="font-size:130%;"></span> </div><div><span style="font-size:130%;"></span> </div><div><span style="font-size:130%;"></span> </div><div>আমার সোনার বাংলা </div><div>আমি তোমায় ভালবাসি</div><div> </div><div>চিরদিন তোমার আকাশ তোমার বাতাস</div><div>আমার প্রানে বাজায় বাশি</div><div> </div><div>আমি তোমায় ভালবাসি।</div>Rabilmhhttp://www.blogger.com/profile/02982932190435420445noreply@blogger.com0